মন ভাল করার উপায় || মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

মানসিক স্বাস্থ্য কি? 

মানসিক বা মন স্বাস্থ্যকে দৈনন্দিন জীবনে কেমন করে ভালো রাখবো। মানসিক স্বাস্থ্য হল কোন একজন ব্যক্তি যখন নিজের সাথে বা নিজের বৃহত্তর পরিবেশের সঙ্গে সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারেন। পরিস্থিতিকে বিচার করতে পারেন। ভালো, মন্দ বুঝতে পারেন। নিজের যে ক্ষমতাগুলো আছে সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারেন।

নিজের আবেগ অনুভূতিকে সম্মান জানাতে পারেন বা আশেপাশে যারা আছে তাদের ভালোলাগা মন্দ লাগা গুলোকেও সম্মান জানাতে পারেন। তখন আমরা ধরে নেবো ওই ব্যক্তি কিন্তু মানসিকভাবে সুস্থ এবার এই মানসিক সুস্থতা আমরা কিভাবে বজায় রাখবো কয়েকটি খুব সাধারণ জিনিস আমি আলোচনা করছি।

মন ভাল করার উপায় || মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

মানসিক সুস্থ বজায় রাখবো কি করে?

দৈনন্দিন শরীর চর্চা আপনি যদি দৈনন্দিন ব্যায়াম করেন বা সাঁতার কাটেন বা ধরুন প্রতিদিন চল্লিশ মিনিট হাঁটেন, তাহলে কিন্তু আপনার শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ হবে। এবং সেটা আপনাকে মানসিকভাবে ভালো থাকতে সাহায্য করবে। এবং সুষম আহার পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয় গ্রহণ, এবং পর্যাপ্ত ঘুমের কথাটা বলছি কারণ যদি আমরা না ঘুমাই তাহলে কিন্তু এমনিতেই আমাদের মেজাজ খুব খিটখিটে হয়ে যায়।

এতে আমাদের সহজে রাগ হয়ে যায়, কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে পারি না। তাই ঘুম কিন্তু মানসিকভাবে ভালো থাকার একটা চাবিকাঠি। এবং বিভিন্ন শখ গড়ে তুলুন। আমরা সবাই ব্যস্ত প্রচুর কাজের চাপ। কিন্তু এমনটা তো নয় যে আমরা সারাদিন কাজ করছি। আমরা দিনের কিছুটা সময় কিন্তু ফাঁকা পাই। এবং তখন কিভাবে কাটাবো বুঝতে পারি না। আর এতে আমাদের কাছে বিভিন্ন দুশ্চিন্তা ভিড় করতে থাকে।

যদি আমাদের মধ্যে কিছু শখ থাকে। যেমন ধরুন গান শোনা, গল্পের বই পড়, ছবি আঁকা, বা ধরুন গাছ লাগানো, তাহলে কিন্তু আমরা অনায়াসে সেই সময়টার একটা সৎ ব্যবহার করতে পারি। পরিবারের সদস্য, বন্ধু, বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখুন। ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। আসলে কি হয় আমরা প্রত্যেকদিন খুবই ব্যস্ত থাকি। একই ছাদের তলায় থাকা সত্ত্বেও আমাদের কিন্তু ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে না।

আমরা এটা বুঝতে পারি যখন আমরা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়ি। যখন আমরা অসুবিধায় পড়ি  তখন যেন মনে হয় আমি একা। আশেপাশে কেউ নেই, কাউকে কিছু বোঝানো যাচ্ছে না, কেউ আমাকে বুঝবে না, কিন্তু এমনটা তো হওয়ার কথা নই। আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রত্যেকদিন যদি আমি ভালোভাবে কিছুটা সময় কাটাই তাদের সঙ্গে কথোপকথন করি তাহলে কিন্তু আমি প্রতিকূল যখন পরিস্থিতি আসবে সহজেই সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

ইতিবাচক বা আশাবাদী হোন:

অর্থাৎ আপনি যদি আশাবাদী হন আপনার মধ্যে যদি একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে তাহলে দেখবেন যত বড়ই সমস্যা হোক আপনি সহজে সেটা কাটিয়ে উঠতে পারছেন। এবং ভালো, মন্দ দুটো দিকই দেখুন এমন কোন মানুষ নেই যার জীবনে শুধু সে ভালো আছে। আবার এমন কোন মানুষ নেই যার জীবনটায় শুধুমাত্র খারাপে ভরা। সুতরাং আমরা যখন ভালো অবস্থায় থাকি তখন কিন্তু আমাদের মনে মনে নিজেদের প্রস্তুত থাকতে হবে যে ভালো সময়টা পরে খারাপ সময় আসতে পারে। নাও আসতে পারে, কিন্তু আমরা কিন্তু আমরা যখন ভালো সময় থাকি আমরা মনে করি এটাই স্বাভাবিক।

ভালো থাকতে হলে কি করা উচিত? 

আমরা ধরে নিই এটাই বুঝি চলবে, খারাপ সময় যখন আসে তখন কিন্তু আমরা সহজে সেটাকে মেনে নিতে পারি না। এবং খুব কষ্ট পাই কিন্তু আমরা ভালো-মন্দ দুটোকেই যদি গ্রহণ করতে পারি সমানভাবে। তাহলে কিন্তু আমরা অনেক ভালো থাকবো। এই বিষয়ে আমার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোঝাপড়ার দুটি লাইন মনে পড়ছে। ভালো-মন্দ যাহাই আসুক সত্যের লহ সহজে। সত্যি যেটা, যেটা বাস্তব সেটাকে গ্রহণ করতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনি মানসিক শান্তি পাবেন। এবং ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর: FAQ

মন ভাল করার উপায় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় নিয়ে কিছু জনপ্রিয় প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়া হলো:

প্রশ্ন 1: কীভাবে মন ভাল করতে পারি?

উত্তর: মন ভাল করার জন্য নিম্নলিখিত কিছু উপায় মানতে পারে:
প্রতিদিন যোগাযোগ করা: পরিবার বা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করা মন ভাল করতে সাহায্য করতে পারে। অথবা ধ্যান বা মানসিক যোগাযোগ প্রদান করতে সাধনা করা মানসিক স্বাস্থ্যে সাহায্য করতে পারে।

প্রশ্ন 2: মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের কেমন রাখা উচিত?

উত্তর: ধ্যান এবং মানসিক স্বাস্থ্য সাধনা: যোগাযোগ সাধনা বা মনোনিবেশ প্রয়াসে সাহায্য প্রদান করতে পারে।এবং  সুস্থ আহার করা, স্বাস্থ্যকর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন 3: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে কী করতে পারি?

উত্তর: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

Post a Comment

Previous Post Next Post